অনলাইন ডেস্ক ::
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬৯৫ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৮৩ জন। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩৬ জন পুরুষ এবং ১২ জন নারী। এঁদের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৮৩ জনের।
এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ৬৫৯ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২০২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪৩৫ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮৯০ জন এবং ষাটোর্ধ এক হাজার ৪২৩ জন।
জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন, খুলনা বিভাগের পাঁচজন, সিলেট বিভাগের পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগের তিনজন, বরিশাল বিভাগের দুইজন, ময়মনসিংহ বিভাগের দুইজন এবং রংপুর বিভাগের দুইজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৪১ জন এবং বাসায় সাতজন।
বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৪৭৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭৫১ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৮২ জন, খুলনা বিভাগের ২১৯ জন, বরিশাল বিভাগের ১০২ জন, সিলেট বিভাগের ১৫১ জন, রংপুর বিভাগের ১৭৭ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৬৭ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৬৬৮ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৩২ হাজার ৯৬০ জন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৬৬৭টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৯৩৭টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে দুই হাজার ৬৯৫ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫টি।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৬৩৫ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৩৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৪৯ হাজার ৯৫১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩১ হাজার ৩৮৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৫৬৮ জন।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন দুই হাজার ৪৫৩ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট চার লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ২৭২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৭৬ হাজার ৯৭২ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৭ হাজার ৪২৫ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৭৪ হাজার ৩৬৯টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বুলেটিনে জানানো হয়, আগামী ৩১ জুলাই থেকে আইইডিসিআর’র কেবল ১০৬৫৫ হটলাইন নম্বরটি ব্যবহৃত হবে এবং অন্য নম্বরগুলো বন্ধ থাকবে।
টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক এবং ১০ জন স্বাস্থ্যতথ্য কর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিনে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন চার হাজার ৫৩১ জন। এ পর্যন্ত এক লাখ ৪৮ হাজার ৩১৬ জন এই সেবা গ্রহণ করেছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
পাঠকের মতামত: